খালেদ আবু এল ফাদল ইসলামি আইনশাস্ত্রের নামজাদা আলেম। ইসলামি আইন, শরিয়া সহ ইসলামের নানা শাখা নিয়ে অজস্র কিতাবাদি রচনা করেছেন। ২০০৩ সালে তিনি ‘ইসলাম এন্ড চ্যালেঞ্জ অফ ডেমোক্রেসি’ নামে এক দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেন। এই প্রবন্ধকে কেন্দ্র করে বেশ বড়সড় বাহাস তৈরি হয়, যেখানে নাদের হাশমি, জেরেমি ওয়াল্ড্রন, সাবা মাহমুদ, মোহাম্মদ ফাদেল সহ প্রায় ১১জন অংশ নেন। কেউ কেউ ফাদলের অবস্থানের প্রশংসা করেন, কেউ কেউ ক্রিটি করেন। ফাদল পরে আবার সেগুলোর সম্মিলিত জবাব দেন। এই পুরো বাহাসই পরে কিতাব আকারে প্রকাশিত হয়েছিল।
মুক্তিপত্র
সহুল আহমদ
Monday, June 10, 2024
Friday, August 12, 2022
‘শূন্যের ভিতরে এতো ঢেউ’: স্মৃতিতে তারেক মাসুদ
... আমি বলিব ঢাকা শহরে তারেক মাসুদ নাই বলিয়া এই শহরকে বসবাসের আরো অযোগ্য মনে হইতেছে।’
- সলিমুল্লাহ খান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যে (বিশেষত গল্প, সিনেমা, উপন্যাসে) কোনো সন্দেহ নেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের জয়জয়কার; এই জাতীয়তাবাদ তার ‘সেকুলার’ চরিত্র ধারণ করার জন্য অদ্ভুতভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মকে একধরনের বিপরীত মেরুতে ঠেলে দিয়েছে, অথবা বলা যায় মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মকে বিপরীত হিসেবে উপস্থাপন করেছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের অধিকাংশ সিনেমা-নাটকে-উপন্যাসে রাজাকারের একটা সাধারণ চিত্রায়ন থাকে: রাজাকারের দাড়ি থাকে, পাঞ্জাবি-পাজামা পরে, মাথায় টুপি থাকে, মাদ্রাসা বা মসজিদে ইমামতি করে, নিয়মিত যায়। ‘দাড়ি-টুপি’ দিয়ে রাজাকারের এই চিত্রায়ন কতটা সত্য আর কতটা আত্মপরিচয়ের রাজনীতির খাতিরে ‘নির্মিত’ তা খুব একটা বিচার করে দেখা হয় নি। বরঞ্চ, এই চিত্রায়ন আমাদের মাথার এতো গভীরে ঢুকে গিয়েছে যে, প্রতিদিনকার জীবন-যাপনে বন্ধুবান্ধবদের কেউ যদি দাড়ি-টুপি পরেছে তখন অন্যদের বলতে শুনেছি, ‘আরে শালা তোরে তো রাজাকার লাগে’। কিন্তু, এই ‘দাড়ি-টুপিওয়ালা’দের রাজাকার বা ভিলেন হিসেবে একরৈখিক উপস্থাপন এখানে যে কালচারাল হেজিমনে তৈরি করেছে তার ফলাফল হয়েছে ভয়ঙ্কর; শাহবাগের সময় জাতীয়তাবাদ ও ধর্ম প্রশ্নে এমনভাবে পুরো দেশের একধরনের আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যাওয়ার একটা কারণ বোধহয় আমাদের এই চলমান সাংস্কৃতিক আধিপত্যের মধ্যেও পাওয়া যেতে পারে।
Tuesday, April 19, 2022
কৃষক, মওলানা ভাসানী ও ‘কৃষক সমিতি’
মওলানা ভাসানীকে নিয়ে যারা আলাপ করেছেন তারা প্রায় সকলেই বলেছেন, বা সরাসরি না বললেও তাদের কথাবার্তা থেকে বোঝা যায় যে, ভাসানীর রাজনীতিকে কোনো একটা খোপে ধরতে পারা কঠিন। প্রায় সকলেই চেষ্টা করেছেন, স্বাভাবিকভাবেই, কোনো দলীয় বা কোনো একটি মতাদর্শিক খোপে ফেলে তাঁর রাজনীতিকে বিচার-বিশ্লেষণ করার। তাঁর ব্যর্থতাকে কেউ কেউ সরাসরি কমিউনিস্টদের ব্যর্থতারই একটা আলামত হিসেবে পাঠ করেছেন[1], কেউবা তাঁর মধ্যে ‘এনার্কিস্ট হওয়া’র[2] আলামত পেয়েছিলেন; আর তাঁর ধর্মীয় অরিয়েন্টেশন তো এখনো বহুল আলোচিত বিষয়। বর্তমানে অনেক বিশ্লেষক ও তাত্ত্বিক ভাসানীর রাজনীতি ও ধর্মের ভেতর একটা যোগসূত্র হিসেবে মুক্তিমুখিন ধর্মতত্ত্বের কথা বলছেন।[3] এই আলাপ চলমান, দৃঢ় তত্ত্বীয় পাটাতনে এখনো দাড়ায়নি। অন্যদিকে ধর্মের সাথে এমন নিবিড় যোগসূত্র থাকার কারণে তাতে সামন্তবাদ-প্রতিক্রিয়াশীলতার ছায়া দেখনেওয়ালা লোকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাঁর সম্পর্কে এতসব অস্পষ্ট আলাপচারিতা আরেকটা বিষয় হাজির করে: দক্ষিণ এশিয়াতে এতো বৈচিত্র্যময় নেতা বোধহয় খুব কম এসেছিলেন।
Sunday, March 20, 2022
হাওয়ার্ড জিনের ‘এমা’: এক আজন্ম-বিদ্রোহী নারীর প্রতিচ্ছবি
Thursday, March 3, 2022
সেকুলারিজমের খোঁজে।। রোমিলা থাপার
[অনুবাদকের মন্তব্য: প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার লন্ডন ইউনিভার্সিটির, দিল্লি ইউনিভার্সিটি ও নয়া দিল্লির জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির প্রাচীন ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপক; বর্তমানে জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির এমিরেটারস অধ্যাপক। ২০১৫ সালের ১৯ আগস্টে রোমিলা থাপার জামিয়া মিল্লিয়াতে আসগর আলি ইঞ্জিনিয়ার স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন। পরবর্তীতে দ্যা ওয়ার (১৮ অক্টোবর ২০১৫) নামক ওয়েব পোর্টাল তার সেই বক্তৃতাটি What Secularism is and Where It Needs to Be Headed শিরোনামে প্রকাশ করে।]